শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০২:৩২ পিএম

মানবাধিকার রক্ষায় মাইলফলক স্থাপন করতে চায় সরকার: আসিফ নজরুল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০২:৩২ পিএম

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০০৯ নিয়ে পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০০৯ নিয়ে পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি- সংগৃহীত

আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষায় একটি মাইলফলক স্থাপন করে দিয়ে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত বেওয়াচ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০০৯ নিয়ে পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার রক্ষা তো দূরের কথা মানবাধিকার হরণের কাজ করেছিল। তারা বিগত সময়ে মানবাধিকার হরণের বিরুদ্ধে কোনো কাজই করেনি শুধু সরকারকেই ডিফেন্স করে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্বাধীন করতে চায়। এই কমিশন গুম খুনসহ যেকোনো মানবাধিকার হরণের ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারে, সে বিষয়ে আইন সংস্কার করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ভালো একটি আইন করে দিয়ে যেতে চায়। আশা করা যায়, ভালো একটি আইন করে দিয়ে যেতে পারবে সরকার। কারণ এই সরকারের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি স্মৃতি রয়েছে।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম, খুন ও আয়নাঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত সময়ে মানবাধিকার কর্মীদেরকেই গুম করা হতো। তাদের ওপর টর্চার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হতো।’

সভায় তিনি আরও বলেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছরে যে দুঃশাসন, আয়নাঘর, নির্যাতন, গুম হয়ে যাওয়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমিক অসংখ্য মানুষের সঙ্গে যা হয়েছে তা যেন আর না হয়। সেজন্য অন্যরকম একটি প্রতিষ্ঠানে যেন মানবাধিকার কমিশনকে রূপান্তরিত করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার।’

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। বক্তব্য দেন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি রেটু সিগফ্রিড রেংগলি, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

সভায় বলা হয়, মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৩ নম্বর আইন) রহিত করে নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ প্রণয়নের ড্রাফট নিয়ে কাজ করছে সরকার।

Link copied!