ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জাকসু নির্বাচন: হল সংসদের ভিপি-জিএস হলেন যারা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
ছবি- ভিডিও থেকে নেওয়া

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। ভোট গণনা দীর্ঘ ৪৫ ঘণ্টা পর অবশেষে শেষ হয়েছে।  পরে হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।

আলবেরুনী হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত আহমেদ শাকিল। জিএস হয়েছেন মুনতাসির বিল্লাহ খান। এজিএস সাদমান হাসান খান।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমেদ। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সামিন ইয়াসির।

আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন জিএমএম রায়হান কবীর। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আবরার শাহরিয়ার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রিপন মন্ডল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।

মীর মশাররফ হোসেন হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ জুবায়ের। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরাফাত হোসেন।

মওলানা ভাসানী হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল হাই স্বপন। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন হৃদয় পোদ্দার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রাকিব হাসান।

শহীদ সালাম-বরকত হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মারুফ হোসেন। জিএস হয়েছেন মাসুদ রানা, এজিএস আবরার আজিম ভুঁইয়া।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বুবলী আহমেদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস হয়েছে সুমাইয়া খানম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), এজিএস প্রার্থী নেই।

১০ নং (ছাত্র) হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ মিয়া। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।

১৫ নং (ছাত্রী) হল

ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শারমীন খাতুন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস মেহনাজ মোহনা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা আক্তার।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাকসুর ভোটগ্রহণ করা হয়। ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স নেয়া হয় সিনেট হলে। সেখানে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে ভোট গণনা চলে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং নারী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন।

এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্যানেল আটটি হলো গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্রশিবিরের ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, বামপন্থিদের তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেল।