কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার প্রয়াত নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান এই জনপ্রিয় নির্মাতা। টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
সোহানুর রহমান সোহানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে যান চিত্রকর্মীরা।
‘প্রেমের তাজমহল’ সিনেমার নির্মাতা গাজী মাহবুবের নেতৃত্বে এদিন শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে যান গুণী নির্মাতা ও কাহিনিকার ছটকু আহমেদ, ওয়াকিল আহমেদ, আবু মুসা দেবু, ফজলে হক, সায়মন তারিক, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, চিত্রনায়ক সনি রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা রাসেল আহমেদ, দ্বীন ইসলাম, কে এ নিলয়, রবিউল ইসলাম রবি, চিত্রগ্রাহক সবুজ, চলচ্চিত্র সাংবাদিক মাজহার বাবু, রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও মঈনুল ইসলাম।
এ সময় ছটকু আহমেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, টাঙ্গাইলে সোহান ভাইয়ের কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে শান্তি লাগছে। খুব ইচ্ছে ছিল একদিন তার কবর দেখতে আসবো।
গাজী মাহবুব বলেন, আমরা সোহান ভাইয়ের কবরস্থানে আসতে পেরে মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছি। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও শিল্পী সমিতি ও চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে।
রুমানা ইসলাম মুক্তি বলেন, সোহান মামাকে ছোট থেকে চিনি। আমাদের বাসায় তার যাতায়াত ছিল। সোহান মামার বউ মামি মাকে প্রায়ই বলতেন, সোহান আমাকে ভালোবাসে না। সারাক্ষণ কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। মামি মারা যাওয়ার পরের দিন সোহান মামা মারা গেছেন। মামি বেঁচে থাকলে বুঝতে পারতেন মামা তাকে কতটা ভালোবাসতো। তাদের মৃত্যুর কিছুদিন পরই তার মেয়ে সৃষ্টি মারা গেছেন। তাদের তিন জনের জন্য দোয়া চাই।
সনি রহমান বলেন, আমার চলচ্চিত্রের যাত্রা অল্প সময়ের। কিন্তু সোহান ভাইকে কাছ থেকে দেখেছি। কাজের সম্পর্ক না থাকলেও তার সঙ্গে সু-সম্পর্ক ছিল। পরিবার নিয়ে তার কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা হলে গিয়ে দেখে ছিলাম। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
চলচ্চিত্র প্রযোজক-নেতা খোরশেদ আলম খসরু, সামসুল আলম মো. ফরমান আলী, গাজী জাহাঙ্গীর, ভানু জয় দাশ এর পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাহবুব ও সায়মন তারিক। এসময় বিভিন্ন সংগঠন থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জীবনসঙ্গী প্রিয়া রহমানের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান সোহানুর রহমান সোহান। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বজন’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘দ্য স্পিড’ ও ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ প্রভূতি।