রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা ও ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভিসহ ৭ দফা দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন ইসলামী ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বের) বিকেল পৌনে ৫টায় রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে তারা এ স্মারকলিপি দেয়।
তাদের দাবিগুলো হলো:
পোলিং এজেন্টদের প্রবেশাধিকার ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ হতে যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা; সাংবাদিকদের জন্য পৃথক আইডি কার্ডের ব্যবস্থা রাখা এবং কেবল প্রশাসন অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার প্রদান করা; ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা এবং বিশেষজ্ঞ টিম রাখা; তবে কোনো প্রার্থী মেশিনে প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে আপত্তি করলে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার ব্যবস্থা রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা; ভোটের দিন ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা এবং নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্যানেলের প্রার্থীরা।
প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা জাকসু নির্বাচনে দেখেছি, নির্বাচনে ফলাফল আসতে তিন দিন সময় নিয়েছে। আমাদের এখানে ভোট কয়েকগুণ বেশি। এতে এখানে ফলাফল পেতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। ফলে এখানে ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করতে হবে। তবে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে তা ম্যানুয়ালি থাকলে চেক করতে হবে।’
আচরণবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণবিধিকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখেছি। এ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্যানেল আমাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ লিখিত আকারে করতে পারেনি। তবে প্রথম দিক থেকে ছাত্রদল আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। তারা শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা করেছে, ঝাড়ুদার দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। আপনারা আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালান। এতে শিক্ষার্থীরা একটি আমেজপূর্ণ নির্বাচন পাবে।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের রাকসু নির্বাচন কমিশনে দাবি দেওয়ার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবারব মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদলের বাইরে তাদের মাদার সংগঠন দাবি পেশ করে সেটাকে পেশাদার মনে করছি না। ছাত্রদলের দাবি ছাত্রদলের নিজেরই পেশ উচিত।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন