ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

চাকসু নির্বাচন: দুই হলের ফলাফলে এগিয়ে ছাত্রদল

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ১২:৪৩ এএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভবন। ছবি-সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি হলের গণনা শেষ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে মাস্টার দা সূর্য সেন ও অতীশ দীপঙ্কর হলের হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

মাস্টার দা সূর্য সেন হলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হদয় ১৪১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ও শিবির মনোনীত ইব্রাহিম রনি পেয়েছেন ১৩০ ভোট। জিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব পদে সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে ও ছাত্রদলের শাফায়েত হোসেন ৫৩ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ১৭০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ও শিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৬৫ ভোট।

এদিকে, অতীশ দীপঙ্কর হলে ফলাফলে দেখা গেছে, হলে মোট ভোট পড়েছে ৪৯৭টি। ভিপি পদে ছাত্রদল মনোনীত সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট ও শিবির মনোনীত ইব্রাহীম হোসেন রনি পেয়েছেন ৯০ ভোট।

জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ৮৩ ভোট ও ছাত্রদলের শাফায়েত হোসেন ১৬৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এজিএস (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ২৬৬ ভোট ও শিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।

অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দী হলের ফলাফলে ভিপি পদে ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নেয়ামত উল্লাহ ফারাবী, জিএস পদে ১ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নূর নবী সোহান এবং এজিএস পদে রেসালাত লিছান ৫৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিন জনই শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। দিনভর ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা সারা দিন অবস্থান করেন। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ উৎসবের আমেজে ভরে ওঠে।

তবে কিছু অভিযোগও উঠেছে। ছাত্রদলসহ কয়েকটি প্যানেল অভিযোগ করেছে—কিছু কেন্দ্রে সইবিহীন ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে এবং অমোচনীয় কালি উঠে মুছে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এ ছাড়া ভোটগ্রহণে কিছু অব্যবস্থাপনার কথাও উল্লেখ করেন তারা। তবে এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশন অস্বীকার করেছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সব কেন্দ্রেই নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা।