জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবহন চত্বর এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানার টানানোর ঘটনার সময় আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় অভিযোগ উঠেছে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনের ভেতরকার কেউ সহযোগিতা করেছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) পরিবহন চত্বরে গভীর রাতে লিখিত ছাত্রলীগের একটি ব্যানার টানানো দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, ‘জুলাই হামলার ঘটনায় চিহ্নিত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসের আশপাশের অবস্থান করে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ট্রান্সপোর্ট এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা সংস্কারের কারণে অচল থাকায় সেখানে অবাধে নিষিদ্ধ সংগঠনের ব্যানার টানানো হয়েছে। এর দায়ও প্রশাসনের ওপরই বর্তায়।
জাকসুর এজিএস ফেরদৌস ফাহিম বলেন, লাইন মেরামতের নামে ট্রান্সপোর্ট চত্বর এলাকার সিসিটিভি ও ইন্টারনেট সংযোগ গতকাল সকাল থেকেই বন্ধ ছিল। এই তথ্য সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কিংবা প্রকৌশল দপ্তরের ইলেকট্রিক বিভাগ থেকে বাইরে গেছে। লাইন কাট অফ থাকায় ট্রান্সপোর্ট থেকে চৌরঙ্গী, খালেদা জিয়া হল, সালাম বরকত জেনারেটর মোড়, আল-বরুণী—সবখানেই সিসিটিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘কারা এই তথ্য ফাঁস করেছে, কারা ছাত্রলীগকে সহায়তা করেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। আমরা প্রক্টর বরাবর এই ঘটনায় জড়িতদের প্রকাশে তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন জানাব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ.কে.এম. রাশিদুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক ও ইন্টারনেট সংযোগ উদ্দেশ্যে সাময়িক সময়ের জন্য লাইন কাট অফ হয়েছিল। তবে আমার মনে হয়, ব্যানারটি কোনো দলের পক্ষ থেকে নয়, ব্যক্তির দ্বারা লাগানো হয়েছে। তাই কোনো তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজন নেই।’



