৪ ঘণ্টা পর কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের ঘটনায় ৪ ঘণ্টা পর এ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্রনেতারা। এ সময় গেটের উভয় পাশে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ও মালবাহী ট্রাক।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ২ ছাত্রনেতা আটক

বিস্তারিত পড়ুন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন: শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস. এম. সুইট, সদস্য সচিব ইয়াশিরুল কবীর, মুখ্য সংগঠক গোলাম রাব্বানী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরে আলম, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীমসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

ছাত্রনেতারা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবি—কুষ্টিয়া থেকে খুলনা মহাসড়ক সংস্কার করা। এই সড়ক সংস্কারের মতো শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বারবার আশ্বাস দিয়েও সংস্কারকাজ শুরু করেনি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ও লাখ লাখ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু প্রশাসন যেন কোনো কথাই গায়ে লাগাচ্ছে না।

এ সময়ে কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ জেলার প্রশাসকরা ঘটনাস্থলে না আসা এবং কবে নাগাদ সড়ক সংস্কার হবে তার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না জানানো পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে ঘোষণা দেন। পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান এবং কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম উপস্থিত হন।

৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব দূর করব: এটিএম আজহার

বিস্তারিত পড়ুন

স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানান, এই মহাসড়কের টেন্ডারটি ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে, যা এখন খুলনা জোনে প্রক্রিয়াধীন। এরপর সরকারের অনুমোদন পেলেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তবে সে পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও জনগণের ভোগান্তি নিরসনে সড়কের যে অংশগুলো সমস্যা রয়েছে সেখানে নতুন করে পিচ ও ইট দিয়ে সংস্কার করে দেওয়া হবে, যা চলমান থাকবে।

প্রশাসনের আশ্বাসের পরে স্থানীয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে আজকের পরে আবারও পূর্বের মতো আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হলে পুনরায় সড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।