ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

মহাসমাবেশ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের আলটিমেটাম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম
চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ছবি- সংগৃহীত

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে লাগাতার অনশন কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম।

সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে সমিতির ব্যানারে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর ২টার দিকে সমাপনী বক্তব্যে সভাপতির ঘোষণা আসে অনশন কর্মসূচির।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমনটি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু যারা রিট করেননি, তাদের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান।

তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমরা চাই ১১তম গ্রেড। এসব দাবির পাশাপাশি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করে মোট চার দফা দাবি নিয়ে আজকের এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আবুল কাসেম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন শুরু হবে। তখন দেশে কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। তাই এখনই শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি-

১. সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান।

২. ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি।

৩. চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে।