বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম

নতুন শিক্ষকদের নিয়োগপত্রে ‘আর্থিক লেনদেনে’ ৩ বছরের জেল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম

বিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষিকা।

বিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষিকা।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ৪১ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা যোগদানও করেছেন। তবে তাদের অনেকেই হাতে পাননি নিয়োগপত্র। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগপত্র পেতে নতুন শিক্ষকরা অনৈতিক দাবির মুখে পড়েছেন।

নিয়োগপত্র হাতে পেতে ‘উপঢৌকন’ হিসেবে চাওয়া হচ্ছে অর্থ। এতে অনেকের বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কড়া অবস্থান নিতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশি সূত্র বলছে, নিয়োগপত্র হাতে পেতে ‘উপঢৌকন’ চাওয়ার বিষয়টি আগেও হয়েছে। এবার নতুন নিয়োগেও তেমন অভিযোগ আসায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে এমন অভিযোগ উঠলে ফেঁসে যাবেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। প্রমাণ পেলেই বাতিল হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও। পদ হারাবেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এমনকি হতে পারে অভিযুক্তদের তিন বছরের জেলও।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, ষষ্ঠ নিয়োগে নতুন শিক্ষকদের কাছে নিয়োগপত্র দেওয়ার নামে ‘অর্থ’ দাবি করতে শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নতুন নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ঘুষটাকে এখন ‘উপঢৌকনের’ নাম দিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। মুচকি হেসে তারা বলছেন, উপঢৌকন না দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে মাউশির সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নতুন শিক্ষক যোগদানে অনৈতিক কার্যকলাপের খবর অনেক পুরোনো। তবে এ বিষয়ে এবার কঠোর হচ্ছে মাউশি। এমন কাণ্ডের সঙ্গে যাদের জড়ানোর প্রমাণ মিলবে তারাই বিপদে পড়বেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে যথাযথ অভিযোগ মাউশিতে জমা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ভুক্তভোগী শিক্ষকের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন মাউশির সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে ষষ্ঠ নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্তদের ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে মাউশি।

যদিও এর আগেও এমন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মাউশি, যেখানে সময় দেওয়া হয়েছিল ২৫ আগস্ট।

Link copied!