অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এর সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত কোটা ও মেধার ভিত্তিতে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এর নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা চিঠিতে গত রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুসারে, অনুমোদিত মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম ২০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিক পরীক্ষার সামষ্টিক ফলাফল বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি অংশগ্রহণের হার পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।

পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত প্রতিটি বিষয়ে থাকবে ১০০ নম্বর এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়—প্রতিটি ৫০ নম্বর করে। মোট নম্বর ৪০০। প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে। প্রশ্নপত্র প্রণীত হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই অনুযায়ী।

শিক্ষার্থীদের ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ—এই দুই শ্রেণিতে বৃত্তি দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীপ্রতি বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা।

বাড়ল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া

বিস্তারিত পড়ুন

সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী একটি বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওই শিক্ষার্থীর মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

তবে কোনো অননুমোদিত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সেই শিক্ষার্থীর প্রার্থিতা বা ফলাফলও বাতিল করা হবে।