শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০১:০৫ পিএম

স্মৃতিময় গানের সঙ্গে...

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০১:০৫ পিএম

স্মৃতিময় গানের সঙ্গে...

সংগীতাঙ্গনের জীবন্ত কিংদবন্তি নন্দিত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী

দেশের সংগীতাঙ্গনের জীবন্ত কিংদবন্তি নন্দিত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর হাত ধরেই এনটিভিতে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘কিছু কথা কিছু গান’ এবং পরবর্তীতে বাংলাভিশনে ‘গানে গানে দেশে দেশে’ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে এই দুটি অনুষ্ঠানের কোনোটার সঙ্গেই এখন আর সৈয়দ আব্দুল হাদীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বিগত অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে এখনো প্রচার চলতি সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্মৃতিময় গানগুলো’র সঙ্গেই সম্পৃক্ত আছেন। আধুনিক বাংলা গানের বিবর্তন নিয়ে এই অনুষ্ঠানে সব সময় প্রধান আলোচক হিসেবেই উপস্থিত থাকেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। এখন শুধু এই একটি অনুষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত আছেন তিনি।

সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘আপাতত বিটিভির স্মৃতিময় গানগুলোর সঙ্গেই সম্পৃক্ত আছি। যেহেতু আমি একজন সংগীতশিল্পী, সারা জীবন গানই গেয়েছি। তাই গানের এই ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে ভালো লাগে। কারণ এখন তো বলা যায় অনেক অবসর সময়। এই অনুষ্ঠানে গেলে ভীষণ ভালো লাগে, অনেকের সেঙ্গ দেখা হয়, কথা হয়। 

গল্প করি, ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা অনেক স্মৃতিচারণ হয় এই স্মৃতিময় গানগুলো অনুষ্ঠানকে ঘিরে। বিগত অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরেই আছি এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার জন্য দোয়া রইল।’

সৈয়দ আব্দুল হাদীকে নিয়ে আজ থেকে দশ বছর আগে একটি বিশেষ গান করা হয়েছিল। গানটির শিরোনাম ছিল ‘তুমি ছুঁয়েছো নীলিমার নীল’। ওমর ফারুকের কথায় ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদের সুর ও সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ফাহমিদা নবী, মুহিন, চম্পা’সহ আরো বেশ কয়েকজন শিল্পী। গানটি প্রযোজনা করেছিলেন ধ্রুব মিউজিক স্টেশণের কর্ণধার ধ্রুব গুহ। 

সৈয়দ আব্দুল হাদী দেশাত্ববোধক গানের জন্য বিখ্যাত। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি গান গাইছেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু। ১৯৬৪ সালে তিনি একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সংগীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু।

আব্দুল হাদীর বেতারে গাওয়া প্রথম জনপ্রিয় গান ‘কিছু বলো, এই নির্জন প্রহরের কণাগুলো হৃদয়মাধুরী দিয়ে ভরে তোলো’। অসংখ্য সিনেমা এবং অ্যালবামে বহু কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। 

তার মধ্যে ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘এই পৃথিবীর পান্থশালায়’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিড়ে’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো’, ‘যেও না সাথী’, ‘আমি তোমারই প্রেম ভিক্ষারী’, ‘চক্ষের নজর এমনি কইরা’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সুর্যাস্তে তুমি’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’, ‘আউল বাউল লালনের দেশে’, ‘মনে প্রেমের বাত্তি জ্বলে’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার বারেস্টার’ ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান।

চলচ্চিত্রে গান গেয়ে সেরা গায়ক ক্যাটাগরিতে সৈয়দ আব্দুল হাদী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচ বার। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য দুই হাজার সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক। এছাড়া বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে পেয়েছেন আরও অনেক সম্মাননা।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!