শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম

সন্তানের বাবা হয়েও আমাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল: বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি- সংগৃহীত

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি- সংগৃহীত

ঢালিউড অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অতীতের এক মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি জানান, কষ্ট, বিশ্বাসঘাতকতা ও অপমানের মধ্য দিয়েই তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাগুলো এসেছে। সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সে ছিল আমার সন্তানের বাবা, তবুও আমাকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিল।’

স্ট্যাটাসে বাঁধন লেখেন, তার মেয়ের অভিভাবকত্ব মামলা চলাকালীন সাবেক স্বামী একদল সহকর্মী ও একটি বিশেষ রাজনৈতিক সংযোগযুক্ত ফটোসাংবাদিকের সহযোগিতায় তার বিরুদ্ধে এক নোংরা প্রচার শুরু করেন। 

 আজমেরী হক বাঁধন। ছবি- সংগৃহীত

ওই সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাঁধনকে ‘খারাপ মা’ ও ‘লজ্জাহীন নারী’ প্রমাণের চেষ্টা চলে। নিজের ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হয়, যার মাধ্যমে তাকে সমাজের চোখে হেয় করা হয়।

তিনি লেখেন, ‘আমি যাদের আপন ভাবতাম তাদের অনেকেই তখন চুপ করে ছিল। কেবল কিছু বিনোদন সাংবাদিক বন্ধু এবং অনেক অচেনা শুভাকাঙ্ক্ষী পাশে দাঁড়িয়েছিল।’ 

 আজমেরী হক বাঁধন। ছবি- সংগৃহীত

তবে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক ছিল বিশ্বাসঘাতকতা। বাঁধনের ভাষায়, ‘সে শুধু আমার সাবেক স্বামী ছিল না, সে ছিল আমার সন্তানের বাবা। আমি তাকে ভালোবাসতাম না, কিন্তু আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আর সেই বিশ্বাসটাই সে নির্মমভাবে ভেঙে দিল।’

ঘটনার পরদিন এক বন্ধুর বাড়িতে ভেঙে পড়েছিলেন বাঁধন। তিনি জানান, তখন তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিলেন না। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় কিছু বলতে বা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না, কারণ যেকোনো পদক্ষেপ মামলার রায়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারত।

বাঁধন লেখেন, সেই সময় বন্ধুর স্বামীর একটি কথা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তাকে বলা হয়, সামনে দুটি পথ—একটি হলো রাগ ও প্রতিশোধের, আরেকটি কঠিন হলেও মর্যাদাপূর্ণ: নীরবতা, সত্য ও আত্মসম্মানের পথ। তিনি দ্বিতীয় পথটি বেছে নেন এবং ধীরে ধীরে নিজের ভেতরের শক্তিকে আবিষ্কার করেন।

 আজমেরী হক বাঁধন। ছবি- সংগৃহীত

স্ট্যাটাসের শেষাংশে বাঁধন লেখেন, ‘যখন কেউ আমাকে অপমান বা আক্রমণ করতে চায় আমি আর সাড়া দিই না। আমি তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া তুলে দিই না। আর এই নীরবতা, এই আত্মনিয়ন্ত্রণ তাদের বেশি কষ্ট দেয়, যেকোনো কথার চেয়েও। কারণ তারা যখন এখনো নিজেদের ঘৃণা আর রাগে ডুবে থাকে, আমি তখন অনেক দূর এগিয়ে গেছি, শান্তি, স্পষ্টতা আর সম্মান নিয়ে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!