দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বর্তমানে কলকাতায় ব্রাত্য বসুর নতুন ছবি ‘শেকড়’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গত সোমবার থেকে এই সিনেমার শুটিংয়ে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘দ্রবময়ীর কাশীবাস’ ও ‘দাদু’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘শেকড়’। সিনেমাটির গল্প দুই গ্রামের এক বয়স্ক নারী-পুরুষকে ঘিরে আবর্তিত হবে। বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করছেন লোকনাথ দে এবং বৃদ্ধা নারীর চরিত্রে থাকছেন সীমা বিশ্বাস, যিনি সম্প্রতি ‘রক্তবীজ ২’ ছবিতে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
বৃদ্ধের ছেলের চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে, আর তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পৌলমী বসু।
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও ছবিটিতে অভিনয় করছেন সীমা বিশ্বাস, লোকনাথ দে, পৌলমী বসু, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন, অঙ্গনা রায়, অনসূয়া মজুমদার, অনুজয় চট্টোপাধ্যায় ও নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ।
শুটিংয়ের ফাঁকে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন চঞ্চল চৌধুরী। সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ রাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষিতে শিল্পীদের কাজে কোনো বাধা পড়ছে কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি কাজের জন্য যতবার ভিসার আবেদন করেছি বা কোনো প্রোডাকশন হাউসের নিমন্ত্রণে এসেছি, তখন খুব সহজেই ভিসা পেয়েছি। কোনো সমস্যা হয়নি।
রাজনৈতিক টানাপড়েন কি শিল্পীর স্বাধীনতা বা দর্শকদের মনোভাবের ওপর প্রভাব ফেলছে?-এই প্রশ্নে চঞ্চল বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হলে অনেক স্বাভাবিক বিষয়ও জটিল হয়ে যায়। তবে এগুলোর সমাধানও হয়। সমস্যা সব সময় কিছু না কিছু থাকবেই-দুটি দেশ তো আলাদা। যদিও এগুলো স্থায়ী নয়। দেশের মধ্যে কাজ করতে গেলেও অনেক সংকট তৈরি হয়।
‘শেকড়’ ছবিটি দুই বাংলার দর্শকদের মধ্যে নতুন এক সংবেদন তৈরি করবে বলে নির্মাতাদের প্রত্যাশা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন