ঢাকা শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

‘সাহস থাকলে কেউ আমাদের আলাদা করে দেখাক’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১১:২০ পিএম
বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ ও তার স্ত্রী সুনীতা আহুজা। ছবি- সংগৃহীত

চার দশকের সংসারজীবন, দুটি সন্তানের অভিভাবকত্ব—সবকিছুর মাঝেই বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ ও তার স্ত্রী সুনীতা আহুজার জীবন একটা সাজানো-গোছানো ছবির মতোই সুন্দর। তবে সম্প্রতি সেই ছবি কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছেদের গুঞ্জনে। খবর রটে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সুনীতা নাকি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন, অভিযোগ তুলেছেন প্রতারণা ও গার্হস্থ্য হিংসার। ছয় মাস ধরে কাউন্সেলিংও চলছে বলে দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু এই সমস্ত গুঞ্জনের মাঝেই একঝলকেই যেন সবকিছুর অবসান ঘটালেন তারা।

গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠানে গোবিন্দ ও সুনীতা। ছবি- সংগৃহীত

গণেশ চতুর্থীর দিন পাপারাজ্জিদের সামনে হাত ধরাধরি করে হাজির হন গোবিন্দ ও সুনীতা। উজ্জ্বল মুখে, হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সুনীতা স্পষ্ট করে বললেন, ‘সাহস থাকলে কেউ আমাদের আলাদা করে দেখাক। ওপর থেকে ভগবান এলেও পারবেন না। আমার গোবিন্দ শুধুই আমার। যতক্ষণ না আমি মুখ খুলছি, কেউ কিছু বিশ্বাস করবেন না।’

এই উপস্থিতির মধ্যেই ফিরে এলো পুরোনো স্মৃতিচারণও। এক ট্রাভেল সংস্থার সঙ্গে কথোপকথনকালে সুনীতা জানান, ছেলেকে জন্ম দেওয়ার সময় তার ওজন ছিল ১০০ কেজি। সেই সময়ে গোবিন্দর চোখে জল দেখা গিয়েছিল। তিনি ডাক্তারকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘আমার স্বামী পুত্র চান, বাচ্চাটাকে বাঁচান, আমি মরলেও কিছু যায় আসে না।’ সেই আবেগঘন মুহূর্তে গোবিন্দ কেঁদে ফেলেছিলেন।

গোবিন্দ ও সুনীতা। ছবি- সংগৃহীত

বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুলেছেন তাদের মেয়ে টিনা আহুজাও। তিনি বলেন, ‘সবই গুজব। আমি এমন একটি সুন্দর পরিবারে জন্মেছি বলেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের নিয়ে এমন ভালোবাসা, উদ্বেগ ও সমর্থন দেখানোর জন্য।’

যদিও অভিনেতার আইনজীবী পূর্বে জানিয়েছিলেন, সুনীতা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছিলেন এবং মামলা করেছিলেন হিন্দু বিবাহ আইনের ধারা ১৩ (১)(i), (iএ), (iবি) অনুযায়ী। তবে এখন উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গোবিন্দ ও সুনীতা। ছবি- সংগৃহীত

১৯৮৭ সালে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় বিয়ে করেন গোবিন্দ ও সুনীতা। তাদের দুই সন্তান-মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন। ইতোমধ্যে টিনা অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন, আর যশবর্ধনের বলিউডে অভিষেকও সামনে। বিচ্ছেদের খবরে ভক্তদের মনে যে দুঃখ জাগছিল, তা অনেকটা মুছে গেছে এই যুগলকে আবার একসঙ্গে দেখে।