বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ হঠাৎ ছুটিতে ঢাকা ছাড়ার পর আর ফিরছেন না। ইসলামাবাদ সরকার ইতোমধ্যে তার স্থলাভিষিক্ত নতুন হাইকমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান হায়দারকে ঢাকায় নতুন হাইকমিশনার হিসেবে পাঠানো হবে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্পোকসম্যান এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে ইমরান হায়দারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অপর এক সংবাদমাধ্যম জং জানিয়েছে, সৈয়দ আহমেদ মারুফের কূটনৈতিক দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটিয়ে তাকে পাকিস্তানে ফেরত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইসলামাবাদেই অবস্থান করছেন।
গত ১১ মে হঠাৎ করে ঢাকা ছাড়েন হাইকমিশনার সৈয়দ মারুফ। একই দিনে পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কেবল তার ঢাকা ছাড়ার তথ্য জানায়।
যদিও পরবর্তীতে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, তিনি দুই সপ্তাহের ছুটিতে গিয়েছেন। তবে এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি ঢাকায় ফেরেননি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সৈয়দ আহমেদ মারুফ। আগের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর তুলনায় তিনি ঢাকায় বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ও মারুফ নানা সরকারি-বেসরকারি মহলে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবসহ বিভিন্ন সফর আয়োজনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ঢাকা ছাড়ার আগ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা সফর করেন মারুফ। সম্প্রতি তার রাজশাহী এবং কক্সবাজার সফর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা হয়।
এদিকে, নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বর্তমানে মিয়ানমারে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে তিনি এই দায়িত্বে আছেন। ২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত তাজিকিস্তানে রাষ্ট্রদূত ছিলেন ইমরান। এর আগে তেহরানে ডেপুটি হেড অব মিশনের দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া, মাদ্রিদ, দিল্লি, আমিরাত এবং নিউইয়র্কে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থায়ী মিশনে কাজ করেছেন তিনি। ইমরান হায়দার ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।