ঢাকাই চলচ্চিত্রের খলচরিত্রে সুপরিচিত অভিনেত্রী রিনা খান দাবি করেছেন, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই তাকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হতে হয়।
এমনকি তার বড় ছেলে জার্মানিতে থাকলেও তার বিরুদ্ধেও নাকি মামলা দেওয়া হয়েছিল, এমনকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে রিনা খান বলেন, ‘আমি জিসাস (জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। আমি বিএনপি করি বলেই আজকে আমার এই অবস্থা।’
বড় ছেলের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ছেলে বিদেশে, তার নামেও মামলা হয়েছে। ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগে ছিল। আমি ঘরে থাকতে পারতাম না, বিটিভি বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে ডাকত না।’
সেখানে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘আমি অনেক কাজ রেখে সকাল থেকে এসেছি। আমাদের সালাহউদ্দিন সাহেব অনেক সহায়তা করেছেন। দলের লোকজনও পাশে থেকেছেন।’
রিনা খান জানান, ২০০৯ সালে তার বড় ছেলে জার্মানিতে পাড়ি জমানোর পরই তার নামে ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে পরিবারের ওপর নেমে আসে নানা চাপ ও হয়রানি।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা। আমি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারতাম না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পরে আমরা নতুন করে জীবন পেলাম।’
এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত রিনা খান বলেন, ‘আজকে আমি খুব খুশি, খুশিতে কান্না চলে আসছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে কেউ আর জুলুম না করুক।’
রিনা খানের আসল নাম সেলিমা সুলতানা। ১৯৮২ সালে ‘সোহাগ মিলন’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও তিনি খলচরিত্রে বেশি পরিচিতি পান। তবে ইতিবাচক চরিত্রেও তাকে পর্দায় দেখা গেছে। বর্তমানে তিনি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।