ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেল দ্য কেরালা স্টোরি

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
‘দ্য কেরালা স্টোরি’র দৃশ্যে আদা শর্মা।ছবি - সংগৃহীত

ভারতের ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই ছবির জন্য সুদীপ্ত সেন পেয়েছেন সেরা পরিচালকের পুরস্কার এবং প্রশান্তানু মহাপাত্র পেয়েছেন সেরা চিত্রগ্রহণের স্বীকৃতি।

২০২৩ সালের ৫ মে মুক্তিপ্রাপ্ত এই হিন্দি ভাষার ছবিটি মূলত কেরালার কয়েকজন নারীর ধর্মান্তর ও জঙ্গি সংগঠন আইএসে যুক্ত হওয়ার বিতর্কিত দাবিকে কেন্দ্র করে নির্মিত। ছবিতে দেখানো হয়, কীভাবে কিছু নারী প্রতারণার মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি ও সিদ্ধি ইদনানি।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পোস্টার।ছবি - সংগৃহীত

প্রথম টিজারেই দাবি করা হয়েছিল, কেরালার ৩২ হাজার নারী এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, যা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। পরে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংখ্যাটি প্রতীকী এবং ছবির গল্প আংশিকভাবে কাল্পনিক।

ছবিটি লিখেছেন সূর্যপাল সিং, সুদীপ্ত সেন ও বিপুল অমৃতলাল শাহ। প্রযোজনা করেছে সানশাইন পিকচার্স, যেখানে প্রযোজক ও সৃজন পরিচালক ছিলেন বিপুল অমৃতলাল শাহ। সম্পাদনায় ছিলেন সঞ্জয় শর্মা এবং সংগীতে ছিলেন বিরেশ শ্রীবলস ও বিষাখ জ্যোতি।

১৩৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ছবির বাজেট ছিল আনুমানিক ১৫-২০ কোটি রুপি, আর বিশ্বব্যাপী আয় করেছে প্রায় ৩০৩.৯৭ কোটি রুপি। মুক্তির পরপরই ছবিটি ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়ে। 

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছবিটির স্বীকৃতিকে ভারতের চলচ্চিত্র ঐতিহ্যের ‘অপমান’ বলে আখ্যা দেন। বিরোধী পক্ষের অনেক নেতাও ছবিটির পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’র দৃশ্যে আদা শর্মা। ছবি - সংগৃহীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি প্রধান অশুতোষ গোয়ারিকর বলেন, ‘বিষয়টি কঠিন হলেও ছবিটি তা সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছে, এজন্যেই এর স্বীকৃতি প্রাপ্য।’ অপরদিকে, অভিনেত্রী আদা শর্মা বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের সকলের পরিশ্রম আর আবেগের ফল।’

সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এবং বিতর্কিত বিষয়বস্তু সত্ত্বেও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পে নৈতিক ভারসাম্য ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।