শেষমেশ কেল্লাফতে! ৩৩ বছরের টানা রাজত্বে যার ঝুলিতে অগণিত হিট, কোটি ভক্তের হৃদয়, আন্তর্জাতিক সম্মান—তাঁর ভাগ্যে ছিল না শুধু একটিই, ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেই বহু কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতিটাই এলো ২০২৫ সালে এসে, ‘জাওয়ান’ সিনেমায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, বলিউডের কিং খান শাহরুখ খান অবশেষে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হলেন, আর ভক্তমনে যেন বাঁধভাঙা আনন্দ!
‘জাওয়ান’ ছবির দমবন্ধ করা অ্যাকশন, নরম-মরম রোম্যান্স আর তীক্ষ্ণ ড্রামার ভেতর দিয়ে শাহরুখ যেন নিজেকে ফের নতুন করে চিনিয়ে দিলেন। শুধু বক্স অফিসে বাজিমাত নয়, সমালোচকরাও এই ছবিতে তার অভিনয়ের সামনে নিঃশব্দে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছেন। আর এই এক ছবি দিয়েই দীর্ঘ তিন দশকের আক্ষেপে যেন লাগল পূর্ণচ্ছেদ।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই খবরে শাহরুখ ভক্তরা যেন মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। চারদিকেই উল্লাস, শুভেচ্ছা আর ভালোবাসার বন্যা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে গলি-মহল্লা, অফিস-ক্যান্টিন—শুধুই ‘শাহরুখ পেল পুরস্কার!’ চিৎকার।
জীবনে কত সম্মান পেয়েছেন তিনি! ফ্রান্স সরকার তাকে দিয়েছে ‘অর্ডার দেস আর্টস এট দেস লেটারস’, ‘লিজিয়ন অব অনার’-এর মতো সম্মান। অথচ দেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছিল অধরাই। এবার সেই অভাবও ঘুচে গেল। বলিউডের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি ঝলমলে পালক।
এই প্রাপ্তি শুধু একজন শাহরুখ খানের নয়, এটি যেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তার কোটি ভক্তের, যারা দিনের পর দিন, বছর ঘুরে যুগ ধরে চিৎকার করে এসেছে—‘আমাদের বাদশা সেরা!’ এবার সেই কথায় সরকারি সিলমোহরও বসে গেল।
কিং খানের এই জয় বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মাঝেও এনেছে একরাশ খুশি। কারণ তার মতো আইকনদের সাফল্য আসলে সবার আনন্দের, ভালোবাসার, অনুপ্রেরণার। শাহরুখ নিজেই একবার বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন পূরণ করতে সময় লাগে, কিন্তু স্বপ্ন দেখে যেতে হয়।’ এবার স্বপ্নটা সত্যিই হলো।