ঢাকা বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গাজায় ভয়াবহ হামলা, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মসজিদসহ ১৭ ভবন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা থেকে বাঁচতে গাজা শহর ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা শহরে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। লাগাতার বোমা ও গুলির মুখে হাজারো বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। ফিরে আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব এ হামলাকে ‘বীভৎস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা শহরের অন্তত ১৭টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, এর মধ্যে পূর্ব তুফফাহ এলাকার আয়বাকি মসজিদও রয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়।

বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনারা উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলোও ধ্বংস করছে বিস্ফোরকবাহী রোবট দিয়ে। মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের শুরুতে সেনারা ১৫টি রোবট ব্যবহার শুরু করে—যার প্রত্যেকটি একসঙ্গে ২০টি পর্যন্ত বাড়িঘর ধ্বংস করতে পারে।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার শহরে অন্তত ৯১ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় সড়কের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় একদল মানুষের গাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়।

দুই বছরের যুদ্ধে প্রাথমিক ধাপ শেষ হওয়ার পর প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি গাজা শহরের ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফিরে এসেছিলেন। তবে বর্তমানে কতজন রয়েছেন, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাদের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানায়, সমানসংখ্যক মানুষ শহরের কেন্দ্র ও পশ্চিম অংশে আশ্রয় নিয়েছেন, আর ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ পুরোপুরি শহর ছেড়েছেন।

এদিকে, যারা দক্ষিণাঞ্চলের দিকে গেছেন, তাদের সামনেও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। রাফাহ ও খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত মানুষের ভিড়ে পূর্ণ আল-মাওয়াসি শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, খারাপ অবস্থা দেখে মঙ্গলবার ১৫ হাজার মানুষ আবার গাজা শহরের ফিরে গেছেন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান অগ্রসর হওয়ার ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সেনাদের মুখপাত্র এফি ডেফরিন বলেন, ‘গাজা নিয়ন্ত্রণে কয়েক মাস লাগবে। যত সময় লাগুক, গাজায় আমরা অভিযান চালাব।’