ভারত তাদের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ‘সিএমএস-০৩’ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। রোববার (০২ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে নির্ধারিত সময়েই ভারতের মাটি থেকে প্রথম উৎক্ষেপণ করা হয় সবচেয়ে ভারী এই যোগাযোগ উপগ্রহটি।
৪৪১০ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পৌঁছে দেবে ভারতেরই তৈরি এলভিএম৩-এম৫ রকেট। ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই রকেটের নাম দিয়েছেন ‘বাহুবলী’। ভারতের মাটি থেকে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট (জিটিও)-এ প্রতিস্থাপন করা হবে উপগ্রহটিকে।
ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো এর আগে সাড়ে পাঁচ হাজার কেজিরও বেশি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে। তবে তা ভারতের মাটি থেকে পাঠানো হয়নি।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বরে ৫ হাজার ৮৫৪ কেজি ওজনের জিস্যাট-১১ উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হলেও সেটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকায় ফরাসি ভূখণ্ড ফ্রেঞ্চ গুয়ানার কোউরুও থেকে। ‘এরিয়েন-৫ ভিএ-২৪৬’ রকেট ইসরোর সেই কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
এবার ভারত থেকেই ৪ হাজার ৪১০ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল ইসরো, যা এর আগে কখনো হয়নি। আবার উপগ্রহটি পাঠানো হয়েছে ভারতের তৈরি রকেটে করেই।
ইসরোর এই ‘বাহুবলী’ রকে লম্বায় প্রায় সাড়ে ৪৩ মিটার। ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এলভিএম৩ রকেটগুলোর মধ্যে এটি পঞ্চম সংস্করণ।
সিএমএস-০৩ উপগ্রহটি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য পাঠানো হলেও এর একটি অংশ সামরিক নজরদারির কাজেও ব্যবহার হতে পারে। যদিও ইসরো এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ইসরো জানিয়েছে উপগ্রহটি ভারতীয় ভূখণ্ডসহ ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যোগাযোগ পরিষেবা জোরদার করবে। বিশেষ করে দূরবর্তী দ্বীপপুঞ্জ, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রপথে চলাচল করা জাহাজের স্যাটেলাইট যোগাযোগে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যোগাযোগের জন্য এটি একটি বহুমাত্রিক কৃত্রিম উপগ্রহ।


