আলোচিত মডেল সুপ্রভা মাহবুব বিনতে সানাই মাহবুব তার স্বামী আবূ সালেহ মূসার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি এবং জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান এই মামলার আবেদন গ্রহণ করে আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৭ মে আবূ সালেহ মূসার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সানাই। বিয়ের সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে আসবাবপত্র ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া হয়। পরে মূসা ব্যবসার কথা বলে সানাইয়ের কাছ থেকে নিজের জমানো ১২ লাখ এবং বাবার কাছ থেকে ৭ লাখসহ মোট ১৯ লাখ টাকা নেন, যা পরে তিনি অপচয় করেন।
এর কিছুদিন পর পুনরায় ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মূসা। টাকা না পেয়ে সানাইয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ আছে।
তবে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, ওই ঋণ শোধ করতে গিয়ে সানাইকে দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য চাপ দেন মূসা। বিষয়টি নিয়ে সানাই আইনজীবীর মাধ্যমে একাধিকবার সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন এবং ৭ ও ২২ জুলাই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
কিন্তু মূসা ১৭ জুলাই সেই নোটিশের জবাবে অভিযোগগুলোকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। ৩১ জুলাই আফতাবনগরের বাসায় এসে মূসা বলেন, ‘তুই শতবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও আমি গ্রহণ করব না, ২২ লাখ টাকা না দিলে সংসার করব না।’
সানাই অভিযোগ করেন, ‘সে শুধু টাকার জন্য আমাকে বিয়ে করেছে। আমি তাকে বলেছি, আমি ইনকাম করি, তুমি কিছু একটা করো, আমরা সংসার করি। কিন্তু সে কোনো চেষ্টা করেনি। উল্টো অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দিয়েছে।’
অভিযোগ আরও জানায়, ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সানাইকে নির্যাতন করে বাসা থেকে বের করে দেন মূসা। এরপর থেকে সানাইয়ের পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি তিনি।
তদন্ত ও শুনানির জন্য মামলাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।