ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

ডিম সেদ্ধ না ভাজা, কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ১১:৩২ এএম
ডিম সেদ্ধ না ভাজা, কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত

ডিম একটি পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে সকালের নাশতায়। ডিমে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মোট ৭২ ক্যালরি। ভিটামিন ডি, বি১২, রিবোফ্লাবিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডিম শক্তি জোগায় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

পুষ্টি পেতে কীভাবে ডিম খাবেন

সকালে অনেকেই সেদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদরা এটিকে স্বাস্থ্যকর বলছেন। পুষ্টিবিদদের মতে, সেদ্ধ ডিমে অতিরিক্ত চর্বি বা উপাদান যোগ না হওয়ায় এর প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে। এতে ক্যালরি কম, তবু প্রয়োজনীয় পুষ্টি বজায় থাকে। সেদ্ধ ডিম শরীরে শক্তি জোগায় এবং এর কোলিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়ক।

অন্যদিকে, ডিম ভাজার সময় স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা, টমেটো, মাখনের মতো উপকরণ যোগ করা হয়। এই উপকরণগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের জন্য। ভাজা ডিমে ফসফরাস বেশি থাকে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তবে প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ সেদ্ধ ও ভাজা ডিমে প্রায় একই রকম।

ভিটামিন এ

ভিটামিন এ এর সমৃদ্ধ উৎস অমলেট। বর্তমানে ফোন, ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে যারা বেশি সময় কাটান তারা ড্রাই আইজের সমস্যায় বেশি ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন এ।

ওজন কমায়

ওজন কমাত সাহায্য করে অমলেট। কারণ এটি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনে ভরপুর। আর প্রোটিন পেট অনেকটা সময় ভরিয়ে রাখে। ফলে খিদে কম পায়। যা ওজন কমাতে সহায়ক।

ক্লান্তি দূর করে

ঘন ঘন ক্লান্ত লাগে। কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকে। এর কারণ আয়রনের অভাব। অমলেটের মধ্যে আয়রনের পরিমাণ অনেকটা। যা শরীরে অক্সিজেন ঠিকমতো পরিবহন করে। এর ফলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা কেটে যায়।

বিশেষজ্ঞরা সাধারণত সেদ্ধ ডিমকে বেশি স্বাস্থ্যকর মনে করেন। কারণ এতে অতিরিক্ত কোনো উপাদান যুক্ত হয় না এবং শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে। তবে ডিম ভাজার ক্ষেত্রে যদি কম তেল, ভালো মানের তেল ব্যবহার করা হয় এবং অতিরিক্ত ভাজা না হয়, তাহলে সেটিও মোটামুটি স্বাস্থ্যকর।

যদি আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে সেদ্ধ ডিম বেশি উপকারী। তবে মাঝেমধ্যে পরিমিত পরিমাণে ভাজা ডিমও খাওয়া যায়। সবকিছুর মধ্যে পরিমিতি ও সঠিক প্রস্তুতিই হলো সবচেয়ে বড় বিষয়।