প্রতিদিন চুলের যত্ন নিচ্ছেন, নিয়ম করে পরিস্কার করছেন, প্রয়োজনীয় প্রসাধনী মাখছেন তবুও চুল ধরে রাখতে পারছেন না?
কেবল অযত্নেই চুল পড়ে না, থাকতে পারে আরো অনেক কারণ।
চিরুনির দিকে তাকালেই ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। কারণ, চুলে চিরুনি চালালেই তো গোছা গোছা চুল হাতে উঠে আসছে। অথচ চুলের যত্নে কোন ত্রুটি রাখছেন না। এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করা থেকে মাঝেমাঝে স্পা-বাদ থাকছে না কিছুই। তাতে লাভ হচ্ছে না। দিনে দিনে চুলের গোছা ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে চিরুনিতল্লাশি করা জরুরি। অনেক সময়ে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেও চুল পড়তে থাকে।
চুল ঝরার নেপথ্যে কোন কোন শারীরিক অসুস্থতা থাকতে পারে চলুন জেনে নেই।
থাইরয়েড :
থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে চুল পড়তে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্ন হলে যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, চুল ঝরা তার মধ্যে অন্যতম। অত্যধিক চুল উঠলে তাই শুধু শ্যাম্পুর দোষ না দিয়ে শরীরের প্রতি নজর দিন।
মানসিক উদ্বেগ :
চুল পড়ার অন্য একটি কারণ হতে পারে মানসিক উদ্বেগ। ব্যস্তময় জীবনে উদ্বেগ আর চিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কোন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন উদ্বেগে থাকলে একটা সময় তা অবসাদে পরিণত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চুল ঝরে শুধুমাত্র মানসিক উদ্বেগের কারণে।
ভিটামিনের ঘাটতি :
শরীরে ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্কের ঘাটতি নানা অসুখ ডেকে আনে। চুল পড়ার নেপথ্যে এটাও একটা কারণ হতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতিতেও অত্যধিক চুল পড়তে পারে। হঠাৎ চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিন।
জিনগত সমস্যা :
পরিবারে কারও এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে মুশকিলে পড়তে হয়। বংশানুক্রমে চুল পড়ার সমস্যা পেলে, সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজসাধ্য নয়। চুল পড়ে যাওয়ার এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া। এমনটা হয়ে থাকলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।
আপনার মতামত লিখুন :