ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

এসিল্যান্ড কী কী দায়িত্ব পালন করেন?

ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‌‘এসিল্যান্ড’ একটি পরিচিত নাম হলেও অনেকেই জানেন না এই পদটির প্রকৃত দায়িত্ব ও গুরুত্ব কী।

এসিল্যান্ড পদে যারা কর্মরত থাকেন, তারা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এসিল্যান্ড (AC Land) সম্পর্কে বিস্তারিত:

এসিল্যান্ড কারা?

‘এসি’ হলো ‘সহকারী কমিশনার’ এবং ‘ল্যান্ড’ অর্থাৎ ভূমি। এই দুটি শব্দ মিলিয়ে ‘এসিল্যান্ড’। এটি বাংলাদেশ প্রশাসন ক্যাডারের মাঠপর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।

এই কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (এডিসি) অধীনে ভূমি প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনায় কাজ করেন। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এসিল্যান্ডের প্রধান দায়িত্বসমূহ

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ: মালিকানা, খতিয়ান, মজুতখাতা ইত্যাদি হালনাগাদ রাখা।

ভূমি রাজস্ব আদায়: খাজনা আদায় নিশ্চিত করা।

খাসজমি ব্যবস্থাপনা: সরকারি জমি সংরক্ষণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ।

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি: স্থানীয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা: মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইন প্রয়োগ।

ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন: সরকারি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

এসিল্যান্ড হতে হলে কী করতে হয়?

বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হতে হয়।

নিয়োগের পর সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং নিতে হয়।

প্রবেশন (পরীক্ষামূলক) সময় সফলভাবে শেষ করার পর স্থায়ী নিয়োগ পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে।

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা

গ্রেড: ৯ম গ্রেডে নিয়োগ (প্রারম্ভিক বেতন ~২২,০০০ টাকা)।

বাড়িভাড়া ভাতা: ঢাকায় ৬০%, অন্যান্য এলাকায় ৪৫-৫০%।

অন্যান্য সুবিধা: চিকিৎসা ভাতা, সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা, সরকারি গাড়ি/যানবাহন সুবিধা, মোবাইল কোর্টের অতিরিক্ত সম্মানী।

পদোন্নতির সুযোগ: এসিল্যান্ড → সিনিয়র সহকারী কমিশনার → ইউএনও → এডিসি → ডিসি → সচিব পর্যায় পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ।

কেন এসিল্যান্ড পদের এত কদর?

ভূমি প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কারণে এই পদটি সম্মানজনক, প্রভাবশালী এবং জনসেবামূলক। অনেক বিসিএস পরীক্ষার্থীই প্রশাসন ক্যাডার এবং বিশেষ করে এসিল্যান্ড পদটিকে অগ্রাধিকার দেন।

এসিল্যান্ড বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কাজ করা মানে হচ্ছে, জনগণের কাছে সরাসরি সেবা পৌঁছে দেওয়া, সরকারের ভূমি-নীতি বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনিক নেতৃত্বে অবদান রাখা।