শীতের জনপ্রিয় খাবার হাঁসের মাংস। এটি খেলে শরীর উষ্ণ হয়, তবে গ্রীষ্মকালেও অনেকের পাতে থাকে মসলাদার হাঁসের মাংস।
সুস্বাদু হলেও অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা সংযমী হতে পরামর্শ দেন।
হাঁসের মাংসের পুষ্টিগুণ
হাঁসের মাংস প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে রয়েছে—
-ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স (রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬)
-আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম
-প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৩০০ ক্যালরি
-মুরগির তুলনায় বেশি আয়রন ও তামা
-সামান্য অসম্পৃক্ত ফ্যাট, যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
কারা হাঁসের মাংস এড়িয়ে চলবেন
হৃদরোগী ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী: স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরল বাড়িয়ে ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিক রোগী: উচ্চ ফ্যাট ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগী: খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়িয়ে ধমনির সমস্যা হতে পারে।
লিভারের রোগী: অতিরিক্ত চর্বি লিভারের ওপর চাপ ফেলে।
ওজন কমাতে চাইলে: হাঁসের মাংস উচ্চ ক্যালরি ও ফ্যাটসমৃদ্ধ।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির রোগী: ফ্যাটি খাবার হজমে সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে।
অ্যালার্জিপ্রবণ ব্যক্তি: হাঁসের মাংস খেলে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি বা বমি হতে পারে।
কতটা খাওয়া নিরাপদ
পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশির মতে—
-প্রতিদিনের জন্য যেকোনো মাংসের সঠিক পরিমাণ ৬০-৭০ গ্রাম।
-হাঁসের মাংস ২ টুকরো (প্রায় ৬০ গ্রাম) যথেষ্ট।
-সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য সপ্তাহে এক থেকে দুইবার খাওয়া নিরাপদ হতে পারে।
-চর্বিযুক্ত অংশ ও চামড়া বাদ দিয়ে খাওয়াই ভালো।
বাড়তি সতর্কতা
-চামড়াসহ রান্না করলে ফ্যাট বেড়ে যায়, তাই চামড়া ফেলে দেওয়া উচিত।
-অতিরিক্ত তেল-মশলা ব্যবহার না করাই ভালো।
-অবশ্যই ভালোভাবে সেদ্ধ করতে হবে।
-ঘনঘন বা অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
হাঁসের মাংস খাওয়ার আগে আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করুন। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা লিভারের সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাঁসের মাংস না খাওয়াই উত্তম।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন