শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম

আবহাওয়ার পরিবর্তনে পানিশূন্যতা

মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এখন শরৎকাল। পরিবর্তিত হয়েছে আবহাওয়ার। এই গরম। এই ঠান্ডা। এসময় শরীরের সাথে অনেকেই সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে গেলে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। পানিশূন্যতা হলে শরীরের স্বাভাবিক অবস্থার ব্যাঘাত ঘটে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে এটি সারাদেহে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এমনকি মাত্রাতিরিক্ত পানিশূন্যতা থেকে মৃত্যুও হতে পারে। পানিশূন্যতায় শিশু ও বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

লক্ষণসমূহ

শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে অসুস্থ লাগা শুরু হয়। তখন সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়।

পিপাসা লাগা
গাঢ় হলুদ ও তীব্র গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হওয়া
মাথা ঘুরানো বা হালকা হালকা লাগা
ক্লান্ত বোধ করা
চোখ, ঠোঁট ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া
প্রস্রাব কমে যাওয়া
সারাদিনে চারবারের চেয়েও কম প্রস্রাব হওয়া

যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে

অতিরিক্ত ক্লান্তি
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা ও বিভ্রান্তি
সারাদিনে প্রস্রাব না হওয়া
দাঁড়ালেও যদি মাথা ঘুরানো না যায়
দ্রুত শ্বাস নেওয়া
পালস (নাড়ির গতি) অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া অথবা দুর্বল হয়ে পড়া অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
খিঁচুনি হওয়া
শরীর ঘাম দিয়ে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এবং একটু পর পর হাই তুলতে থাকা
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিপদচিহ্ন দেখা যায়। যেমনÍ
ঝিমিয়ে পড়া
কান্নার সময়ে চোখে জল না থাকা
মাথার উপরিভাগের নরম অংশটি কিছুটা বসে যাওয়া
মুখ শুকিয়ে যাওয়া
গাঢ় হলুদ প্রস্রাব অথবা গত ১২ ঘন্টার মধ্যে কোনো প্রস্রাব না হওয়া
হাত-পা ঠান্ডা ও ছোপ ছোপ হয়ে যাওয়া

ঘরোয়া চিকিৎসা

পানিশূন্যতার জরুরি লক্ষণসমূহ না দেখা গেলে ঘরোয়াভাবেই এর চিকিৎসা করা যায়। পানিশূন্যতার চিকিৎসা হল- শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করা। পানিশূন্যতা দেখা দিলে তাই প্রচুর পানি, খাওয়ার স্যালাইন (ওরস্যালাইন) ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তরল খাবারের মধ্যে রয়েছে চিড়া পানি, ডাবের পানি, ভাতের মাড় ও স্যুপ। এ ছাড়া ফলের রসে বিশুদ্ধ পানি মিশিয়ে পাতলা করে খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবারের পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে। হাতের কাছে প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইন না থাকলে ঘরোয়াভাবে খাবার স্যালাইন বানিয়ে নিতে পারেন। মারাত্মক পানিশূন্যতা হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরার মাধ্যমে স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। পানি পান করার বিষয়টি সবাই একসাথে বসে চা খাওয়ার মতো একটি সামাজিক অভ্যাস হিসেবে উপস্থাপন করা।

 

 

 

 

 

 

 

আরবি/জেআই

Link copied!