ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ‘চুমু’। কিন্তু এই চুমু শরীরের মেদ কমাতেও ভূমিকা রাখে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খাওয়ার সময় শরীরে যে জৈব পরিবর্তন ঘটে, তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর চুমুর সময় মুখের প্রায় ৩০ থেকে ৩৪টি পেশি একসঙ্গে সক্রিয় হয়। এতে প্রতি মিনিটে ২ থেকে ৬ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হয়। যদিও এটি শরীরচর্চার বিকল্প নয়, তবু নিয়মিত চুমু খাওয়া শরীরের সামান্য ক্যালরি খরচে সহায়তা করতে পারে।
চুমু খাওয়ার সময় শরীরে নিঃসৃত হয় সুখ হরমোন—অক্সিটোসিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিন। এসব হরমোন মানসিক প্রশান্তি দেয়, উদ্বেগ কমায় এবং কর্টিসল নামের একটি হরমোনের মাত্রা হ্রাস করে। কর্টিসলই মূলত শরীরে চর্বি জমার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাছাড়া চুমু খাওয়ার সময় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মুখের ক্ষতিকর জীবাণু প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ছাড়া মানসিক চাপ কমে গেলে ঘুমও ভালো হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, চুমুর মাধ্যমে হারপিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অন্যান্য ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুমু খাওয়া কোনো ডায়েট বা ব্যায়ামের বিকল্প নয়। তবে এটি শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের জন্য একধরনের প্রাকৃতিক থেরাপি, যা ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গে শরীরকেও চাঙ্গা রাখে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন