অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ অসংক্রামক রোগের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি ও বাংলাদেশের যুব সমাজ’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আয়োজক ছিল অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) ও তরুণ সংগঠনগুলোর একটি প্ল্যাটফর্ম।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল: ‘প্রযুক্তি নির্ভর যুব শক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি’।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, উচ্চ রক্তচাপে অকাল মৃত্যুর হার বাড়ছে। বাংলাদেশে বছরে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই অসংক্রামক রোগজনিত, যার ১৯ শতাংশই অকাল মৃত্যু। তরুণ বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে তা ভবিষ্যতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বক্তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ে ওষুধ সহজলভ্য করা যেমন জরুরি, তেমনি তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিবিএইচসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. গীতা রানী দেবী জানান, সরকার ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ওষুধ সরবরাহসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তরুণদের এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফ হক খান বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া এই প্রবণতা ঠেকানো সম্ভব নয়।’
ওয়েবিনারটির সভাপতিত্ব করেন প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং সঞ্চালনা করেন কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এতে অংশ নেন।