জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য সূর্যের বাইরের অংশ (করোনা) দেখা খুবই কঠিন। সূর্যের খুব উজ্জ্বল আলোর কারণে, ভেতরে লুকিয়ে থাকা করোনার ক্ষীণ আলো দেখা যায় না। যখনই সূর্যগ্রহণ হয়, তখন চাঁদ কিছু সময়ের জন্য সূর্যকে ঢেকে রাখে, যার কারণে করোনা দেখা যায়। কিন্তু সূর্যগ্রহণ খুব অল্প সময়ের জন্য হয় এবং পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে এটি দেখা সম্ভব হয় না।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা প্রোবা-৩ নামে একটি মহাকাশযান তৈরি করেছেন। এই মহাকাশযানগুলো একসঙ্গে কাজ করে এবং ঠিক সূর্যগ্রহণের মতো পরিবেশ তৈরি করে। এই মহাকাশযানগুলোর মধ্যে একটি সূর্যের কাছাকাছি উড়ে যায় এবং চাঁদের মতোই তার উজ্জ্বলতা ঢেকে রাখে। এটি অন্য একটি মহাকাশযানের উপর ছায়া ফেলে, যার মধ্যে একটি ক্যামেরা ইনস্টল করা আছে যা তৈরি হওয়া গ্রহণের ছবি তোলে।
উভয় মহাকাশযান একে অপরের থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে উড়লেও তারা একটি সরলরেখায় থাকে। এই সুনির্দিষ্ট কৌশলটি ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত উপগ্রহ মেরামতের মতো মিশনে খুবই কার্যকর হবে। এত উচ্চ গতি সত্ত্বেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা একটি দুর্দান্ত অর্জন।
প্রোবা-৩ মিশন মহাকাশের আবহাওয়া বুঝতেও সাহায্য করবে। এই মহাকাশযানগুলো সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা দ্রুত কণাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে, যা কখনও কখনও পৃথিবীর দিকে আসে এবং মহাকাশের আবহাওয়া নষ্ট করতে পারে, যা উপগ্রহের অনেক ক্ষতি করে। এই পদ্ধতি বিজ্ঞানীদের সৌর ঝড় সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
সূত্র: দ্য কনভারসেশন