বর্তমান যুগে মোবাইল ইন্টারনেট যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাতের ফোনে ইন্টারনেট না থাকলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে স্লো ইন্টারনেটের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতে গেলে, ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় বা ওয়েবসাইট খোলার সময়ে ইন্টারনেট ধীরগতির হয়ে যায়। তবে কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে মোবাইল নেটের স্পিড অনেকটা বাড়ানো সম্ভব।
মোবাইলের অ্যাপগুলো ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশে ডেটা জমে যায়। অনেকেই দীর্ঘদিন অ্যাপ ব্যবহার করেও ক্যাশে ক্লিয়ার করেন না। এতে শুধু স্টোরেজে চাপ পড়ে না, বরং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। নিয়মিত ক্যাশে ডেটা মুছে দিলে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
যত বেশি অ্যাপ একসঙ্গে খোলা থাকবে, নেটওয়ার্কের ওপর চাপ ততই বাড়বে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখলে ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্টারনেট ব্যবহার কমে যায় এবং স্পিড বাড়ে।
অনেকে ফোনে অ্যাপগুলো এমনভাবে সেট করে রাখেন যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়। যদিও সুবিধাজনক মনে হয়, তবে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ায় এবং স্পিড কমিয়ে দেয়। তাই ম্যানুয়ালি অ্যাপ আপডেট করা বেশি কার্যকর।
অনেক সময় ‘অটো সিলেক্ট নেটওয়ার্ক’ অপশন চালু থাকলে মোবাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক বেছে নেয়, যা কানেকশনকে স্থির না রাখার কারণ হতে পারে। নিজের মোবাইল অপারেটর ম্যানুয়ালি বেছে নিলে ইন্টারনেট স্পিড অনেকটা বাড়ানো সম্ভব।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মেনে চললে ঘরে বসেই মোবাইল ইন্টারনেটের গতি অনেকটা বাড়ানো যায়। নতুন ফোন কেনা বা অপারেটর পরিবর্তনের আগে এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করাই দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের চাবিকাঠি।