ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৩টি ভিডিও সরিয়েছে টিকটক

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
টিকটক। ছবি- সংগৃহীত

২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক। প্রতিবেদন বলছে, এই প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৩টি ভিডিও সরানো হয়েছে। বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার হার ৯৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে ৯৭.৫ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানো হয়েছে।

সম্প্রতি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। টিকটক ইউজারদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে টিকটকের উদ্যোগগুলো সম্পর্কে এই রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট সক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণের তথ্য প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে।

বিশ্বজুড়ে এবার টিকটক মোট ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া মোট কনটেন্টের প্রায় ০.৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ২৪১টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, যাচাই করার পর ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯টি ভিডিও পুনরায় প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়েছে। আর ৯৯.১ শতাংশ ভিডিও আগে থেকেই চিহ্নিত করে সরানো হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৯৪.৪ শতাংশ ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এই প্রান্তিকে টিকটক ৭ কোটি ৬৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৬০টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলেছে। এ ছাড়া, ১৩ বছরের কম বয়সি ইউজার হিসেবে শনাক্ত করে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৪ হাজার ৭০৮টি অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে।

সরিয়ে ফেলা ভিডিওগুলোর মধ্যে ৩০.৬ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু থাকার কারণে, যেটি কিনা টিকটকের কনটেন্ট পলিসি লঙ্ঘন করে। এ ছাড়া, নিরাপত্তার নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে ১৪ শতাংশ এবং গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নির্দেশনা ভঙ্গের কারণে ৬.১ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে। ৪৫ শতাংশ ভিডিওকে ভুল তথ্য এবং ২৩.৮ শতাংশ ভিডিওকে এডিট করা বা এআই‑জেনারেটেড কনটেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে সরানো হয়েছে।

টিকটক নিয়মিতভাবে এই কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে, যেখানে টিকটকের কনটেন্ট ও অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টের স্বচ্ছতা সম্পর্কিত তথ্য থাকে। টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের এই রিপোর্ট, টিকটকের কনটেন্ট নীতিমালা, টুলস এবং পলিসি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তথ্যগুলো বাংলা এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই রয়েছে।