রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক খালেক মিয়া তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেগুনবাগিচা এলাকার বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা সেগুন বাগিচা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।’
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, তাদের জায়গা জমি দখল ও চলাচলের রাস্তা দখল করেছে এবং সরকারি জায়গা দখল করেছে জাকির।
এ ছাড়া জাকিরের পরিবারের সদস্যরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ আছে। জাকির হোসেন গং ডিআরইউ সদস্যদের ওপর পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছে বলেও অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে ডিআরইউ-এর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘সন্ত্রাসী জাকির হোসেন গংয়ের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত চৌধুরী আলমের গুম হওয়ার নেপথ্যের বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করা।’
‘কারণ জাকির হোসেন নিয়ন্ত্রিত যে বস্তি রয়েছে, এখানে চৌধুরী আলমের লোকজনও আড্ডা দিত। জাকির হোসেনের সঙ্গে চৌধুরী আলমের জায়গার দ্বন্দ্ব রয়েছে। জাকিরের মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবহারসহ সব অপকর্ম খতিয়ে দেখে দ্রুত মামলার চার্জশিট দেওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, ‘জাকির হোসেনের সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করে আইনের সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।’