সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে তার ফাঁসি চেয়ে আদালত চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ এ আদেশ দেন। আদেশ ঘোষণার পর এজলাস কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও স্লোগান দেন। তারা সাবেক এই বিচারপতির শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক খালেদ হাসান তাকে আদালতে হাজির করে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। এরপর রাত ৮টা ১৫ মিনিটে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে খায়রুল হককে আদালতের এজলাসে তোলা হয়।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং তিনি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত রায় বিকৃত করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারেন, এই আশঙ্কায় তাকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এবিএম খায়রুল হক ২০১০ সালে দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। প্রধান বিচারপতি থাকাকালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন। হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত থাকাকালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় এবং সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দেন তিনি।
২০১৩ সালে তিনি তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। পরে কয়েক দফা তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি ১৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।
আপনার মতামত লিখুন :