সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ফের পিছিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদালত। পাশাপাশি তদন্তে আপ্রাণ চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।
রোববিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
বেলা ১২টা ১০মিনিটে মামলার তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এ সময় বিচারক তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই'র অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হকের কাছে জানতে চান, এই মামলায় তদন্তে অগ্রগতি কতদূর?
জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়েছিল। এরপর আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি এই মামলার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।’
এ ছাড়া দুজনের মিক্সড ডিএনএ তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব কারণে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও, উচ্চ আদালতে থেকে আরও সময় নেওয়া হয়। এ সময় বিচারক বলেন, যা বুঝলাম। আগের এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনিও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে, অসন্তুষ্ট। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
এর আগে গত ১১ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলার আসামিরা হলেন: রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের 'বন্ধু' তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে।