ঢাকা রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

বিসিবির নির্বাচন হতে বাধা নেই

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চাওয়ার কার্যক্রম এবং ১৫টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা চেম্বার আদালতের আদেশে স্থগিত রাখা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান, এবং রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।

উল্লেখ্য, বিসিবি নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই একের পর এক নাটক হচ্ছে। তপশিল ঘোষণার পর থেকেই নানা ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরাও। সর্বশেষ মেজর (অব.) ইমরোজ ও লুতফর রহমান বাদলের সরে দাঁড়ানো এবং আর দুই প্রার্থীর সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেই নিশ্চিত হয়েছে বিসিবির নতুন বোর্ডের সম্ভাব্য ১২ পরিচালকের নাম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১২ পরিচালক হতে পারেন ইসতিয়াক সাদেক (ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব), আদনান রহমান দীপন (রূপগঞ্জ টাইগার্স), ফায়াজুর রহমান মিতু (উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব), আবুল বাশার (প্রাইম ধলেশ্বর), আমজাদ হোসেন (ঢাকা স্পারটান্স), শানিয়ান তানিম নাভিন (ঢাকা মেরিনার ইয়াংস), মো. মোখছেদুল কামাল (গোল্ডেন ঈগলস), মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া (ভিক্টোরিয়া এসসি), এম নাজমুল ইসলাম (ট্যালেন্ট হান্ট), ফারুক আহমেদ (রেঞ্জার্স ক্রিকেট), মো. মনজুর আলম (রেগুলার স্পোর্টিং ক্লাব) ও মেহরাব আলম চৌধুরী (যাত্রাবাড়ী ক্রীড়া চক্র)।

সরকারি হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রায় দেড় ডজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ১৫ জন প্রার্থী ঢাকার ক্লাব থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর প্রার্থীরা বর্তমান বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়ে বা অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন চেয়ে প্রস্তাব দেন।

বিসিবি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর ভোটের আগে নাটকীয় ঘটনা এবং সমঝোতার ভিত্তিতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া দেশের ক্রিকেটভক্তদের নজর কাড়ছে।