বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ছবি- সংগৃহীত

বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ছবি- সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৫৯ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিদের খালাস মঞ্জুর করেন। আপিলের পক্ষে আদালতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও কায়সার কামাল।

এ ছাড়া আইনজীবী জাকির হোসেন ভুঁইয়া এবং মাকসুদ উল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ এবং অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

রায়ের প্রকাশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যে মামলায় কোনো বাস্তব ভিত্তি ছিল না, সেই মামলায় হাইকোর্ট ৫ বছর থেকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। এটি ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক। পুরো মামলাটি ছিল বিদ্বেষমূলক ও প্রতিহিংসামূলক।’

তিনি বলেন, ‘আজ আপিল বিভাগের রায়ে দেখা গেছে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছে। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছেন, আপিল মঞ্জুর এবং হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করা হলো। যারা আপিল করতে পারেননি, তাদেরও খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন তারেক রহমান ও কামাল সিদ্দিকী। এই রায় প্রমাণ করে যে, পুরো মামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান জানান, মোট চারটি আপিল ছিল, যা সবই মঞ্জুর হয়েছে। হাইকোর্ট ডিভিশন ও বিচারিক আদালতের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, পুরো মামলাটিই ছিল ম্যালিসাস প্রসিকিউশন, অর্থাৎ বিদ্বেষমূলক। এ কারণে যারা প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা পাননি, তাদেরও খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সময়ে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে ১০ বছরে বৃদ্ধি করে। তবে আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায়ে সেই সাজা বাতিল করে খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিদের খালাস প্রদান করে। আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে, যেসব আসামি আগের রায়ে আপিল করতে পারেননি, তাদেরও একই সুবিধা দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালাস প্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। এটি দেখিয়েছে যে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম।’

রায়ে আরও বলা হয়েছে, মামলাটির কোনো ন্যায্য ভিত্তি ছিল না। সারা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে এটি ছিল একটি বিদ্বেষমূলক প্রচেষ্টা। আদালত এই রায়ে প্রমাণ করেছে যে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চালানো অপরাধমূলক বা রাজনৈতিক প্রভাবিত মামলা যদি আদালতের মাধ্যমে বিচার পায়, তবে তা বাতিল করার সুযোগ রয়েছে।

Link copied!