মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

আবু সাঈদ হত্যা, সাক্ষী না আসায় ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

আবু সাঈদ। ছবি- সংগৃহীত

আবু সাঈদ। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষী না আসায় আবারও পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করলেও সাক্ষী হাজির না হওয়ায় নতুন করে আগামী ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হলে ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করে। প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহিদুল ইসলাম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন ছয়জন এবং ২৪ জন এখনো পলাতক।

পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল, আনোয়ার পারভেজ, এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার শুনানিতে কনস্টেবল সুজনের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, সাক্ষী হাজির না করা প্রসিকিউশনের দায়িত্বহীনতা। সাক্ষী না আসা মানে প্রসিকিউশনের ব্যর্থতা। আদালতের নির্দেশ যথাসময়ে বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।

এর আগে ১৩ অক্টোবরও সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত হয়, কারণ সেদিনও সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হয় প্রসিকিউশন। সে সময় প্রসিকিউটর মঈনুল করিম জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সাক্ষী আসতে পারেননি এবং অন্যান্য প্রসিকিউটররা ট্রাইব্যুনাল-১ এ ব্যস্ত ছিলেন।

তখন ট্রাইব্যুনাল অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্য করে, সাক্ষী ব্যক্তিগত কারণে আসেননি এমন কথা আদালতের রেকর্ডে লেখা যায় না। কাজ করতে না পারলে দুটি ট্রাইব্যুনাল রাখার প্রয়োজন কী? আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করাও বিবেচনা করা যেতে পারে।

এ মামলার নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয় ৬ অক্টোবর, যেখানে পুলিশের দুই উপপরিদর্শক এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল সাক্ষ্য দেন। তারা দুজনই জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ২৮ আগস্ট, নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মাধ্যমে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও চিকিৎসকসহ একাধিক সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় ফর্মাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে। মোট ৬২ জন সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে।

Link copied!