ঢাকা শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে বাবলা হত্যার ঘটনায় বড় সাজ্জাদসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০৭:৩২ এএম

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলিতে সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।।

নিহত বাবলার বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন। এতে বিদেশে পলাতক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নামোল্লেখ করা আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ আলী (বড় সাজ্জাদ), মোহাম্মদ রায়হান, বোরহান উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন ওরফে ইমন এবং হেলাল ওরফে মাছ হেলাল। তাদের সবার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গণমাধ্যমকে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী দীর্ঘদিন ধরে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত রোববার তিনি সরোয়ারকে ‘সময় শেষ’ বলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে অংশ নেন সরোয়ার। এসময় পেছন থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। সাজ্জাদের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এর তিন দিন পর, বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ চলার সময় পেছন থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে বাবলাকে গুলি করা হয়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। সাজ্জাদের নির্দেশেই তার অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, একই ঘটনায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ পায়ে গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হন। নিহত বাবলার বিরুদ্ধেও অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবলা একসময় বড় সাজ্জাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি আলাদা গ্রুপ গঠন করলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব চলছিল দীর্ঘদিন।

এ বছরের ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে গুলি চালানোর ঘটনায় দুইজন নিহত হন। তদন্তে জানা যায়, মূল টার্গেট ছিলেন বাবলা।