ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মনোনয়ন বঞ্চিত চার নেতা ও তাদের অনুসারীরা। ওই সমাবেশে উপস্থিত থাকার অভিযোগে উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম বিপ্লবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করেছেন রবিউল করিম বিপ্লব। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংগঠনের শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত।
এ পরিস্থিতিতে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী তিন দিনের মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সামনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী এই দাবি তুলে ধরেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল মোমেন এবং মামুন বিন আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একে এম শামছুল ইসলাম শামস (সূর্য) ও নাসের খান চৌধুরীর পক্ষে নেতারা বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম বিপ্লব বলেন, ‘আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। দাওয়াতের ভিত্তিতেই উপস্থিত হই। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেখানে থাকবেন কি না- এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আমি দলীয় প্রার্থীর সঙ্গেই কাজ করব। যারা বিরোধিতা করছেন তাদেরও বুঝিয়ে দলের পক্ষে কাজ করতে উৎসাহিত করছি। নোটিশ অনুযায়ী হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেব।’
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নান্দাইল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী বলেন, ‘বিভাগীয় সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে সব মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। এখন সেই সিদ্ধান্ত না মানা বোধগম্য নয়। আমার নেতৃত্বে সব অঙ্গসংগঠন ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’


