শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এই সময়ে ঠান্ডা আবহাওয়া, ছোট দিন আর কাজের চাপ শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শীতের আগে থেকেই নিজেকে যত্নে রাখার প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। কয়েকটি সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে পুরো মৌসুমজুড়ে নিজেকে সতেজ, সুস্থ ও উদ্যমী রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের আগে নিজের যত্নে কী করবেন
মানসম্মত ঘুম নিশ্চিত করুন
শীতের ছোট দিন আমাদের দীর্ঘসময় ঘুমাতে প্রলুব্ধ করে। তবে মানসম্মত ঘুম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং নির্দিষ্ট সময়সূচি বজায় রাখুন। ঘুমের ঘর ঠান্ডা রাখুন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫–১৯°C (৬০–৬৭°F) তাপমাত্রা ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখুন
ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি পান কমিয়ে দেন, যা ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ায়। শুষ্ক বাতাসের কারণে ত্বকও রুক্ষ হয়ে পড়ে। সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং চাইলে উষ্ণ ভেষজ চা পান করে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শীতের শুষ্ক বাতাস ত্বককে রুক্ষ ও ফাটলযুক্ত করে তোলে। তাই গোসলের পরপরই হাইড্রেটিং লোশন বা বডি অয়েল ব্যবহার করুন। এছাড়া ঠোঁট ও হাতের যত্নে ভালো মানের লিপ বাম ও হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন
শীতকালে সূর্যের আলো কমে যায়, ফলে ভিটামিন ডি ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা ক্লান্তি ও মেজাজের পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকা ভালো। তবে যাদের এলাকায় সূর্যালোক কম, তারা ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
শীত মানেই ভারী খাবারের মৌসুম। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে চাই সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস। মিষ্টি আলু, শীতকালীন সবজি, পাতাযুক্ত শাক ও মৌসুমি ফল নিয়মিত খান। এছাড়া উষ্ণ স্যুপ ও স্টু শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের আগেই জীবনযাত্রায় এসব পরিবর্তন আনলে শরীর ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকি কমে এবং মৌসুমি ক্লান্তি থেকে সহজে মুক্ত থাকা যায়।

