চলতি মাসে ১৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ১৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে (ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)’ এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গণপিটুনিতে নিহতের মধ্যে ৩ জন চোর সন্দেহে, ৩ জন চুরির অভিযোগে, ১ জন ছিনতাই সন্দেহে ও ১ জন অন্য একটি অপরাধের সাথে জড়িত সন্দেহে।
অপরদিকে নিষিদ্ধ ছাত্র লীগ কর্মী হওয়ায় ৮ জন, নিষিদ্ধ ছাত্র লীগ কর্মী সন্দেহে ১ জন, চোর সন্দেহে ৬ জন, ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ জন, চুরির অভিযোগে ১ জন, অপরাধে জড়িত সন্দেহে ১ জনকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে আইন শৃঙ্খলারক্ষারী বাহিনীর নিকট সোপর্দ করা হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে ধারাবাহিকতায় গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে ঘটেই চলেছে। গণপিটৃনির সংখ্যা আশংকাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তা বোধের বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।
এমএসএফ মনে করে, আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা অবশ্যই ফৌজদারী অপরাধ যা বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড হিসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে। গণপিটুনির সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব।
আপনার মতামত লিখুন :