কিডনি সেবার মান বাড়াতে এক হাজার ডায়ালাইসিস মেশিন কিনছে সরকার

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সংকট নিরসনে সরকার এক হাজার ডায়ালাইসিস মেশিন কিনছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে আইনি জটিলতা ও দাতা সংকট কাটাতে আইন সংশোধনেও কাজ চলছে।

শনিবার রাজধানীর মিরপুর-২-এ বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-কোরিয়া ফ্রেন্ডশিপ সম্মেলনের ‘কিডনি প্রতিস্থাপন’ শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্যসচিব এসব তথ্য জানান। সম্মেলন আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত চলবে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, কিডনি রোগীর চিকিৎসায় এক হাজার ডায়ালাইসিস মেশিন কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে যে হারে কিডনি রোগী বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। এজন্য সরকারি সংস্থার উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে কিডনি রোগের সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এ ছাড়া দেশে কতজন কিডনি রোগী আছে জানতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কিডনি রোগী নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিকে (এনআইকেডিউ)।

এ সময় সম্মেলনে উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে আইনি জটিলতা রয়েছে। এটি সংশোধন করা হচ্ছে। আপনারা চাইলে এ বিষয়ে মতামত দিতে পারেন।

 ‘জুলাই কেবল একটি সময়কাল নয়, এটি একটি ফ্রন্টলাইন’

বিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, দেশে কিডনি ডায়ালাইসিসের ২৫০টি সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মেশিন ঢাকায়। সরকার যে ডায়ালাইসিস মেশিন কিনছে, সেগুলো যদি ঢাকার বাইরে স্থাপন করা যায়, তাহলে সারা দেশে ডায়ালাইসিস সেবা সহজ হবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে ডোনার সংকট কাটাতে এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে। কিডনি প্রতিস্থাপনে অর্থ সংকট কাটাতে যাকাত ফান্ডের মতো আরও কিছু ফান্ড তৈরি করতে হবে। দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে বছরে অন্তত পাঁচ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু মাত্র প্রায় ১২০ জন ব্যক্তি তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনির ব্যবস্থা করতে পারেন। এখন ‘ব্রেন ডেড’ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিডনি নিয়েও প্রতিস্থাপন করতে পারলে সংকট কিছুটা কমে যাবে। আমাদের প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলঙ্কায়ও তা শুরু হয়েছে।