যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
রোববার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফায়ারফাইটার ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
জাহেদ কামাল বলেন, সব ধরনের অপারেশনে আমাদের ফায়ার ফাইটাররা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ভবিষ্যতেও যেকোনো দুর্যোগ ও দুর্বিপাক সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও মানবিকতার প্রতি ভালোবাসা এ অধিদপ্তরের প্রতিটি অপারেশনাল কাজকে করেছে সফল। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা প্রকাশ করি।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এরপর অপারেশনাল কাজে নিহত বিশ্বের সব ফায়ার ফাইটারের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সূচনা বক্তব্যের পর অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে পারদর্শিতা ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত বিভিন্ন পদবির ৪৫ জন কর্মকর্তা ও ফায়ার ফাইটারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১টি করে সনদপত্র, সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, আপনারা দগ্ধ ভবনে প্রবেশ করেন, সড়ক ও নৌযান দুর্ঘটনায় ছুটে যান, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবনের স্পন্দন খুঁজে আনেন। আর এর মাধ্যমে আপনারা অর্জন করেছেন সবার আস্থা ও ভালোবাসা। আপনাদের এই ত্যাগ ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার ফাইটার্স ডে উপলক্ষ্যে এ অধিদপ্তর থেকে আজকে আমরা সম্মাননা জানাচ্ছি। এই সম্মাননা প্রদানের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, সারা দেশ থেকে কর্মকর্তারা অনলাইনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বাদ জোহর ফায়ার সার্ভিসের সব মসজিদে প্রয়াত ফায়ার ফাইটারদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :