সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের গোপনে দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং অপরজন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে, বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মো. আবদুল হামিদ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র তার দেশত্যাগ নিশ্চিত করেছে।
সূত্র অনুযায়ী, রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশন চেক-ইনের পর তিনি নির্বিঘ্নে দেশত্যাগের অনুমতি পান। তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গেছেন বলে দাবি করা হলেও বিষয়টি ঘিরে প্রশাসনের ভেতরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নামও উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর তিনি গোপনে দেশত্যাগ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :