এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বাংলাদেশের দুটি ক্লাব প্লে-অফ পর্বে খেলেছে। ঘরের মাঠ জাতীয় স্টেডিয়ামে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে আবাহনী হেরে যায়। তবে কাতারের দোহায় প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে কীর্তি গড়েছে বসুন্ধরা কিংস। তারা ১-০ গোলে সিরিয়ান ক্লাব আল কামারাহকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে উঠেছে। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন। এই ম্যাচে দোহায় বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল নতুন কোচ সার্জিও ফারিয়াসের। কিন্তু দলের সঙ্গে যোগ না দিয়ে ইরাকের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান কোচ। ফলে ফারিয়াসকে ছাড়াই খেলেছে কিংস। প্রথমবারের মতো বসুন্ধরা কিংস দলে খেলেছেন ইংল্যান্ড-প্রবাসী কিউবা মিচেল। ৬৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে ঝলক দেখিয়েছেন আলোচিত এই ফুটবলার। গোল না পেলেও তার খেলা হৃদয় কেড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন মিচেল। এর আগে নতুন মৌসুমের কিংসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তরুণ ফুটবলার।
নতুন মৌসুমের শুরুতে নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা দেরিতে অনুশীলন শুরু করে। দলের সঙ্গে যোগ দেননি ব্রাজিলিয়ান কোচ ফারিসাস। এই কোচ না আসায় সহকারী কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তার অধীনে সিরিয়ার বাধা অতিক্রম করেছে দল। দোহায় চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফ ম্যাচের শুরুটা দারুণ ছিল কিংসের। ৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল জটলার মধ্যে অধিনায়ক তপু বর্মণ বাড়ান সানডের কাছে। ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে প্লেসিংয় জালে বল জড়ান এই নাইজেরিয়ান। দোহার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রবাসীরা আনন্দের উপলক্ষ পায়। কাতার সময় রাত সাড়ে ৮টায় খেলা শুরু হয়। তখনো দোহায় অনেক গরম।
ম্যাচের দুই অর্ধেই রেফারি কুলিং ব্রেক দিতে বাধ্য হয়েছেন। বসুন্ধরা কিংস বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশি প্রবাসীরা গ্যালারিতে সমর্থন করতে উপস্থিত ছিলেন। সান্ডারল্যান্ড থেকে কিংসে এসেছেন প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। কিংসের কোচিং স্টাফ তাকে প্রথমার্ধে খেলায়নি। প্রথমার্ধে তিনি যখন স্ট্রেচিং করছিলেন, তখন প্রবাসী সমর্থকদের সমর্থন গর্জে উঠেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে মিচেলকে নামান জিলানী। আবহাওয়া, দল সবকিছুই মিচেলের জন্য নতুন; এর পরও তিনি দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। দারুণ এক কর্নার কিকও নিয়েছিলেন।
কিংসের জয়ের পেছনে অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। দুই অর্ধেই একাধিক গোল সেভ করেন তিনি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে কারমাহ মুহুর্মুহু আক্রমণ করেন। সেগুলো দারুণভাবে প্রতিহত করেন। কারমাহর ফিনিশিং একেবারে দুর্বল ছিল। নিশ্চিত কয়েকটি গোল মিস করেছে সিরিয়ার ক্লাবটি। কয়েকবার তিনি আঘাত পেলেও দলকে একেবারে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আগামী ২৫ অক্টোবর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্ব শুরু হবে। ড্রয়ের মাধ্যমে গ্রুপ ও প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে কিংসের। গত বছরও টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে খেলেছিল কিংস।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন