টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তুলনায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অর্জন বেশি। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটই ভালো খেলে বাংলাদেশ। অথচ নিজেদের পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ^কাপে সরাসরি খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ বাহিনীর। সম্প্রতি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থার উন্নতি করতে না পারলে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ^কাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারাবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সে ক্ষেত্রে পাড়ি দিতে হবে বাছাইপর্বের ঝুঁকিপূর্ণ পথ।
গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচ জিতে র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পাকিস্তানের সিরিজ হেরেছে। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে আবার ১০-এ নেমে গেছে টাইগাররা। ৯ নম্বর জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের জন্য। এতে ২০২৭ বিশ^কাপে সরাসরি জায়গা পাওয়া নিয়ে নানা সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে টাইগাররা। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ^কাপে খেলবে ১৪টি দল। এর মধ্যে সরাসরি বিশ^কাপে খেলবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল। আয়োজক হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা আর জিম্বাবুয়ে বিশ^কাপে সরাসরি খেলবে।
বর্তমানে প্রোটিয়ারা ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে থাকায় র্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বরে থাকলেও সরাসরি বিশ^কাপ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু অবস্থানের উন্নতি করতে না পারলে সে ক্ষেত্রে বাছাইপর্ব খেলতেই হবে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান করা শীর্ষ আট দল বিশ^কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতির সামনে বাংলাদেশ পাচ্ছে বেশ কিছু ম্যাচ। ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী, এই সময়সীমার মধ্যে ভাগ্য বদলাতে ২৬ ওডিআই পাচ্ছে কোচ ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
কিন্তু এর ১১টাই আবার র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে, যা আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ ছোট দলের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলে র্যাঙ্কিং আগাবে সামান্য। তবে হারলেই ক্ষতি হবে বেশি। অথচ বছর দুয়েক আগেও এই ফরম্যাটে দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের অধীনে ৩৫ ম্যাচে ২১ জয় পাওয়া টাইগাররা শেষ দুই বছরে ৩৪ ওয়ানডেতে জিতেছে মাত্র ৯টি। পরে বোলিংয়েই যেখানে ভুগতে হয়েছে বেশি। ১৫ ম্যাচে ১১ বারই রান ডিফেন্ড করতে পারেনি বোলিং অ্যাটাক। সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিদায় ছাড়াও এমন করুণ অবস্থার পেছনে কারণ আছে অনেকগুলোই। মানহীন ঘরোয়া ক্রিকেট আর নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনার অভাবে ভুগছে টাইগাররা। নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সামনে তাই এখন চ্যালেঞ্জটা বেশি। দলকে একই সুতোয় গাঁথতে না পারলে ১০ দলের বাছাইপর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন