বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ১০:৩০ এএম

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ ভাগ নারী কোটা বাতিল হচ্ছে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ১০:৩০ এএম

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ ভাগ নারী কোটা বাতিল হচ্ছে

শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিষয়টি এখনো প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের জানান, নারী কোটা বাতিলসংক্রান্ত নথি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। যদি দেরি হয়, তাহলে আগামী সপ্তাহে এটি কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে শুধু ৭ শতাংশ কোটা রাখার পক্ষে মত দেন।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা বহাল রয়েছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য এবং ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। এই নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু করা হয়। ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। পরে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় নারী কোটা শিথিল করে, অনগ্রসর এলাকায় নারী প্রার্থীর স্বল্পতার কারণে।

এ সিদ্ধান্তের ফলে নারীদের জন্য শিক্ষা পেশায় প্রবেশের পথ আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সরকার বলছে, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!