সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলা হবে মহেশখালী-মাতারবাড়ি। এ কাজে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
বর্তমানে জাপান সফরে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় জাপানের পাশে থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে সহায়তার করে ওই অঞ্চলকে ‘নিউ সিঙ্গাপুর’ হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাপান’, যোগ করেন তিনি।
‘নিউ সিঙ্গাপুর’ গড়তে বাংলাদেশের পাশে জাপান
তিনি জানান, মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআইডিআই) প্রকল্প নিয়ে ২০১৪ সাল থেকেই জাপান কাজ করেছে।
‘অন্তর্বর্তী সরকার এই অঞ্চলকে ঘিরে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গ্রোথ ইঞ্জিন হিসেবে যেন এই অঞ্চলকে গড়ে তোলা যায় সেটাই সরকারের ইচ্ছা।’

‘সরকারের লক্ষ্য এই অঞ্চল একটি লজিস্টিকস, পোর্ট, এনার্জি এবং ফিশারিজ হাবে পরিণত হবে। কক্সবাজার-মহেশখালি যেন স্মার্ট সিটিতে পরিণত হয় এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্যমতে এই অঞ্চল যেন ‘নিউ সিঙ্গাপুর’ হিসেবে গড়ে ওঠে সরকার সে উদ্দেশে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাপান।’
১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ সহায়তার আশ্বাস জাপানের
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে ৪১৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান। এর পাশাপাশি ইশ্বরদী-জয়দেবপুর রেললাইন ডুয়ালগেজকরণ প্রকল্পে ৬৪১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে দেশটি।
‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তার জন্য আরও ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে তারা ১ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।’