ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫

মৌলভীবাজারে স্থায়ী পশুর হাট জমে উঠেছে, অস্থায়ী হাট ফাঁকা

এম শাহজাহান মিয়া, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
হাটে বিক্রির জন্য গরুগুলো বেঁধে রাখা হয়েছে। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর স্থায়ী হাটগুলো। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তবে অস্থায়ী হাটগুলো এখনো জমেনি। 

ঝামেলা এড়াতে অনেকেই অপেক্ষা করছেন ঈদের দু-একদিন আগে হাট থেকে পশু কেনার। এ কারণেই এখনো জমে ওঠেনি পশুর হাটগুলো। এমনটাই মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, ঈদের দু-একদিন আগে জেলার সব হাট জমে উঠবে।

এদিকে, সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘিরপাড় বাজারের স্থায়ী হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। অন্যদিকে, মৌলভীবাজার পৌর এলাকার অস্থায়ী হাটসহ অধিকাংশ অস্থায়ী হাট অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ৫৭টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ২২টি।

এরই মধ্যে স্থায়ী হাটগুলোতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় খামারি ও পাইকাররা বিক্রির উদ্দেশে তাদের লালন-পালন করা পশু নিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে আগেভাগেই পছন্দের পশু কিনতে হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। হাটে আসা ক্রেতারা চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দরদামও তারা করছেন।

কোরবানির হাটে আসা ক্রেতা বলছেন, বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর কোরবানির পশুর দাম অনেকটা বেশি। তবে ক্ষুদ্র খামারি ও পাইকারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম প্রতি বছরের মতো এবারও বাড়ায় পশুপালনে তাদের খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘বাজারে সুস্থ পশু বিক্রির জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রচাণার পাশাপাশি জেলায় ২২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। আসছে ঈদুল আজহায় জেলায় কোরবানির পশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৭৯ হাজার ৯ শ ২৯টি।’

‘স্থানীয় খামারিদের কাছে মজুদ রয়েছে ৮০ হাজার ৬ শ ৩৭টি কোরবানির পশু। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৭শ ৮টি গবাদিপশু। পাশাপাশি স্থানীয় খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে লক্ষ্যে চোরাইপথে পার্শবর্তী দেশ থেকে পশু যাতে প্রবেশ করতে না পারে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’- বলেন এই কর্মকর্তা।

স্থানীয় খামারিরা মনে করেন, সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বড় পরিসরে খামার গড়ে উঠবে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে খামারগুলো।