ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের আট বিমানবন্দরের ল্যান্ড সাইডে মোট ৫৭টি দোকান বরাদ্দ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই বরাদ্দের মেয়াদ এখনো চলমান রয়েছে।
বিমানবন্দরগুলো হলো- ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর, রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দর, বরিশাল বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দর।
গত ৬ মে বেবিচকের পরিচালক (সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গীর সরবরাহ করা তালিকায় দেখা যায়, শাহজালালে ৩৯, ওসমানীতে ১৮, শাহ আমানতে ৫ এবং অন্যান্য পাঁচ বিমানবন্দরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫টি দোকান।
বরাদ্দপ্রাপ্তরা হলো- ঢাকার শাহজালালে- আমিন মোহাম্মদ কন: লি., লক্ষ্মীপুর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, দিশারী ট্রেডিং এজেন্সি, ইমতিয়াজ এন্টারপ্রাইজ, নুরাজ এন্টারপ্রাইজ, লাবিবা এন্টারপ্রাইজ, ইকরাম হোসেন, শারমিন আক্তার, মো. সামসুল হক, মো. সামসুল হক, শামীম আহমেদ, এব্রড এয়ার ট্রাভেলস, শাপলা এক্সপেস লি., জে এফ ট্রেডার্স, এ এস ইঞ্জিনিয়ার্স, মাগফেরা আক্তার, ইকরাম হোসেন, তানজিল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, মো. সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, হশাআবি কল্যাণ কমিটি, ছাবিনা ইয়াসমিন, মেসার্স হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, মো. ফারুক হোসেন, মেসার্স এথেন্স কনস্ট্রাকশন, আরমান এন্টারপ্রাইজ, এ-ফোর ট্রেডিং করপোরেশন, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ফাবিহা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ফারুক এন্টারপ্রইজ।
সিলেটের ওসমানীতে মেসার্স রুনা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লন্ডন রেস্টুরেন্ট, মোছা. চম্পা বেগম, মেসার্স বিয়ানীবাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মেসার্স রুনা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মিয়াজী ট্রেডার্স, নাছের ইন্টারন্যাশনাল, কনক কুমার দেব, মেসার্স বিয়ানীবাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মেসার্স বিয়ানীবাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মেসার্স গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স বিয়ানীবাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মেসার্স মিয়াজী ট্রেডার্স, মেসার্স স্পিড ডিস্ট্রিবিউশন, মেসার্স জৈন্তা ক্যাবল ভিশন, মেসার্স রুনা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রুনা এন্টারপ্রাইজ, কনক কুমার দেব।
চট্টগ্রাম শাহ আমানতে মেসার্স হোম রেসিপি ফুড, মেসার্স রাজা মিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, মেসার্স মঞ্জুর আলম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স কে এন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মঞ্জুর আলম এন্টারপ্রাইজ।
এদিকে সৈয়দপুর, রাজশাহী শাহ মখদুম, বরিশাল, যশোর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের সবকটিতে বরাদ্দ পেয়েছে আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজ।
তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওসমানীতে রুনা এন্টারপ্রাইজ ৪টি, মেসার্স বিয়ানীবাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ৪টি এবং কনক কুমার দেবকে ২টি দোকান দেওয়া হয়েছে। একেকজনকে একাধিক দোকান বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে সব কটি বিমানবন্দরেই আওয়ামী দোসর শিল্পী ও সাংবাদিকদের লাউঞ্জ বরাদ্দ করেছে বেবিচক।
আপনার মতামত লিখুন :